বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘বিতাড়িত স্বৈরাচার ও তাদের দোসর নানা কৌশলে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। অপশক্তি দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে গণতন্ত্রের স্বপক্ষের শক্তির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তবে, আমরা সবাই সতর্ক থাকলে দেশের স্বপক্ষের শক্তির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকবে না বলে বিশ্বাস করি।’


সোমবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান বলেন, ‘আওয়ামী স্বৈরাচারের পলায়নের পর জনগণের বিশাল আশাঙ্খা নিয়ে যাত্রা শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে, গণতন্ত্রের পক্ষের সব শক্তি ও সাংবাদিকদের সতর্ক থাকা দরকার। চলমান গণতন্ত্রের যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’


তিনি আরও বলেন, ‘পলাতক মাফিয়া সরকার বিগত দিনে বিএনপিসহ বিরোধী দলের হাজার-হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। শত-শত নেতাকর্মীকে গুম করেছে। গণঅভ্যুত্থানের সময় হাজার-হাজার ছাত্রকে হত্যা করেছে। কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। এই আন্দোলনে শুধু বিএনপির অঙ্গসংগঠনের ৪ শতাধিক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে।’


সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখা একান্ত জরুরি উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিগত পালাতক স্বৈরশাসকের সময় আমরা দেখেছি যে, গণমাধ্যমের প্রতিটি শাখায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠতা প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল।


তারেক রহমান বলেন, লেখক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যেকোনো বিষয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে, এটি গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু ভিন্নমতকে দমন ও দলাদলতি পরিণত করলে কী হতে পারে তা গত দেড় দশকে দেশের জনগণ হাড়েহাড়ে টের পেয়েছে। পালাতক স্বৈরাচারের সঙ্গে সঙ্গে তাদের মন্ত্রী-এমপি কিংবা বায়তুল মোকাররমের খতিব, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পলায়নের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, অবৈধ রাষ্ট্রশক্তি নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণের রায়ই চূড়ান্ত।


.


আমার েবাঙলা/এসএইচ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *