এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবি ও তাকে নির্যাতন করার অভিযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দল থেকে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) করা হয়। তিনি এ শোকজের জবাব দিয়েছেন।


এদিকে ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন গিয়াস কাদের চৌধুরী তার কাছে চাঁদা চাননি। এমনকি তাকে নির্যাতনও করেননি।


বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে লিখিত জবাব দেন গিয়াস কাদের চৌধুরী।


লিখিত জবাবে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেছেন, ‘গত ৫ নভেম্বর ইস্যুকৃত আপনার শোকজ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আমি পেয়েছি। বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকা সত্ত্বেও উত্তর দিয়ে বাধিত করছি। কথিত আবেদনকারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত নোটিশে আমি, আমার পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ব্যথিত।’


গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের রাউজানে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলাসহ নানা অভিযোগে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে শোকজ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই শোকজের লিখিত জবাব দিয়েছেন গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।


জবাবে তিনি বলেন, ‘অভিযোগে উল্লেখিত বিষয়াদি আমি ও আমার পরিবারকে জনগণের সামনে হেয়প্রতিপন্ন করার একটি হীন অপকৌশল বলে মনে করি। অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’


শোকজে বলা হয়ে এক কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে চট্টগ্রামের রাউজানের ব্যবসায়ী মো. ফোরকানকে সন্ত্রাসীদের দ্বারা নির্মম শারীরিক নির্যাতন করেছেন গিয়াস কাদের চৌধুরী।


বিষয়টি অস্বীকার করে ফোরকান বলেন, তিনি (গিয়াস কাদের চৌধুরী) নিজে আমার কাছে কোনো চাঁদা দাবি করেননি। যারা চাঁদা দাবি করেছে এবং নির্যাতন করেছে সুনির্দিষ্টভাবে তাদের তিন জনের নাম ও অজ্ঞাতনামা আট থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে আমি রাউজান থানায় মামলা (নং-১২(১০)২০২৪) দায়ের করেছি। যা তদন্তাধীন রয়েছে।


তিনি আরো বলেন, গিয়াস কাদের চৌধুরী জাতীয় পর্যায়ের নেতা হওয়ায় আমার সঙ্গে সংঘঠিত গঠনায় উদ্ধেশ্যমূলকভাবে জড়িত করা হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি নিশ্চত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।


আমারবাঙলা/এমআরইউ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *