শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা থেকে সাংবাদিক শফিক রেহমান জামিন পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব তার জামিনের আদেশ দেন। এদিন আপিলের শর্ত অনুযায়ী আদালতে আত্মসমর্পণ করেন শফিক রেহমান।


তার আইনজীবী কামরুজ্জামান সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শফিকের আইনজীবী বলেন, এ মামলা থেকে খালাস চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আত্মসমর্পণ করতে আদালতে আসেন শফিক রেহমান। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় শুনানি শুরু হয়।


আরেক আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেজবাহ বলেন, আদালত আপিলের শর্তে শফিক রেহমানের জামিন মঞ্জুর করেছেন। আমরা সাজা মওকুফ চেয়ে আবেদন করলে, পরে শুনানির তারিখ দেবেন বলে জানিয়েছেন আদালত।


গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ সাংবাদিক ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন আদালত। এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিতের আদেশ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।


এ মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত সাংবাদিক শফিক রেহমান ও আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন—বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুইয়া।


মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে কোনো একসময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একত্রিত হয়ে যোগসাজশ করে শেখ হাসিনার ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।


এ অভিযোগ এনে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।


.


আমার বাঙলা/এসএইচ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *